রাজশাহীতে মনজুর কাদেরের সম্মানে ব্যতিক্রমী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানরাজশাহীতে মনজুর কাদেরের সম্মানে ব্যতিক্রমী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, রাজশাহীর জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মনজুর কাদের-এর চাকরি থেকে অবসরজনিত বিদায় উপলক্ষে নিক্বণ নৃত্য শিল্পী গোষ্ঠীর উদ্যোগে “যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে” শিরোনামে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) অনুষ্ঠানটি নিক্বণ নৃত্য শিল্পী গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও নৃত্যগুরু হাসিব পান্না’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি সদর ও পুলিশ সুপার গাজীউর রহমান, পিপিএম। বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক সোনালী সংবাদের সম্পাদক লিয়াকত আলী, রাজশাহী কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. শিখা সরকার, যমুনা টেলিভিশনের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান শিবলী নোমান এবং রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও কবি শামীমা নাইস।

অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল নৃত্যগুরু হাসিব পান্না’র রচনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় মঞ্চস্থ নাটক “যেতে নাহি দিবো হায়”, যা দর্শক-শ্রোতাদের কাছে ব্যতিক্রমী ও নতুন আঙ্গিকের পরিবেশনা হিসেবে প্রশংসিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার গাজীউর রহমান বলেন, সরকারি চাকরিতে বদলি ও অবসর স্বাভাবিক হলেও, শিশুদের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এমন একজন কর্মকর্তার বিদায় সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকে। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে সবার মনে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।

বিদায় বেলায় আবেগাপ্লুত মনজুর কাদের বলেন, ‘‘আমার বিদায় উপলক্ষে নিক্বণের এই আয়োজন আমার জীবনের স্মরণীয় একটি দিন হয়ে থাকবে। এই শিশুদের কথা, ওস্তাদ হাসিব পান্না ভাইয়ের কথা আমি চিরকাল মনে রাখব।’’

স্বাগত বক্তব্যে নৃত্যগুরু হাসিব পান্না বলেন, ‘‘শিশুদের জন্য কাজ করে যাওয়া মনজুর কাদের আমাদের অন্তরে চিরকাল অম্লান থাকবেন।’’

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নিক্বণের নৃত্য প্রশিক্ষক আয়েশা আক্তার ডালিয়া। সহযোগিতায় ছিলেন নৃত্যশিল্পী সাদিকা সারোয়ার উপমা ও নুর হোসেন মিন্টু।