বাকির টাকা চাওয়ায় জামাইয়ের কান কেটে দিল শ্বশুর-শালা, ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটবাকির টাকা চাওয়ায় জামাইয়ের কান কেটে দিল শ্বশুর-শালা, ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম বাজারে বাকির টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে শ্বশুর-শালার রড, শাবল ও লোহার হ্যান্ডেলের আঘাতে জামাইয়ের কান কেটে গুরুতর আহত করার ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে দোকান লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নগদ টাকা ও মালামালসহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার সম্পদ।

এ ঘটনায় আহত দোকান মালিক মামুনের বড় বোন মোসাঃ সেলিনা বেগম বাঘা থানায় মোট ৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ জুন সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা ১০ মিনিটের দিকে উপজেলার মনিগ্রাম বাজারের পশ্চিম মাথায় মামুনের মুদি দোকানে দলবদ্ধভাবে হামলা চালায় তার চাচাতো শ্বশুর ও শালারা।

১নং আসামি মোঃ মাওলা (২৫) লোহার রড দিয়ে মামুনের মাথায় আঘাত করলে আঘাতটি তার ডান কানে লেগে মারাত্মক জখম হয় এবং রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ২নং আসামি মোঃ আলিফ (২২) শাবল দিয়ে পিঠে আঘাত করলে মামুন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর তার বুকে শ্যালো মেশিনের লোহার হ্যান্ডেল দিয়ে একাধিকবার আঘাত করা হয়। এতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর কাটা ও ফুলা জখম হয়।

আহতের চিৎকার শুনে তার বাবা ওহাব আলী ও মা দেলেরা বেগম এগিয়ে এলে তাদেরও এলোপাতাড়ি মারধর করে আসামিরা। এসময় মোঃ আলী (২২) কৌশলে ক্যাশবক্স থেকে তিন লক্ষ টাকা এবং বকুল (৩৫) ও আলম (৪৫) মিলে দোকান থেকে প্রায় ২ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন সেলিনা বেগম।

স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহত মামুনকে প্রথমে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, পরে সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা হলেন: মোঃ মাওলা (২৫), মোঃ আলিফ (২২), মোঃ শাকিল (২০), মোঃ রনি (৩০), মোঃ কুদরত (২৫), মোঃ বকুল (৩৫), মোঃ আলম (৪৫), ও মোঃ আলী (২২); সকলেই মনিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা।

এ বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছাদুজ্জামান বলেন, “মারামারির ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের কয়েকজন আদালতের মাধ্যমে জামিনে রয়েছেন।”

Author