লক্ষ্মীপুর-১ আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আবু নাসের শেখলক্ষ্মীপুর-১ আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আবু নাসের শেখ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অসংখ্য প্রার্থী থাকলেও স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রিয়তা ও সমাজসেবামূলক কাজে সবার চেয়ে এগিয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আবু নাসের শেখ।

সরেজমিনে রামগঞ্জের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কেবল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেকেই সমাজসেবামূলক কাজ কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু আবু নাসের শেখ বিগত সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজ দলের জন্য যেমন নিবেদিত প্রাণ ছিলেন তেমনি এলাকার মানুষের দুঃখ কষ্টের ভাগীদার হয়ে এলাকার সকলের প্রয়োজনে সবসময় পাশে ছিলেন।

রামগঞ্জের ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বরাবরই সাহসী ভূমিকা রেখেছেন আবু নাসের শেখ। মানুষের দুঃখ দুর্দশায় সবসময় পাশে ছিলেন। বিদেশে থাকাকালীন সময়েও এলাকার মানুষের সকল প্রয়োজনে তাকে পাওয়া যেতো। আমার ছেলেকে টাকার অভাবে ফরম ফিলাপ করাতে পারছিলাম না, পরে তিনি বিদেশ থেকে সেই টাকা পাঠিয়েছিলেন। তাঁর মতো মানুষের হাতে যদি রামগঞ্জের নেতৃত্ব যায় তাহলে এলাকার মানুষ সুখে শান্তিতে থাকবেন।

রামগঞ্জের ৭নং দরবেশপুর ইউনিয়নের কলেজ শিক্ষার্থী আব্দুল আহাদ বলেন, এই এলাকায় অনেক নেতাই আছে। যারা তরুণ প্রজন্মের পালস বুঝে না। সাধারণ মানুষ কি চায় তা জানে না। কিন্তু তাদের থেকে ভিন্ন আবু নাসের শেখ। তিনি সাধারণ মানুষের সাথে একেবারে মিশে তাদের দুঃখ বেদনাকে নিজের করে নেন। নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করেন। তার এই মনোভাবাপন্ন আচরণ ব্যক্তিগতভাবে আমাকে সবসময় মুগ্ধ করে। আমি প্রত্যাশা করে ভবিষ্যতে এই আসনের নেতৃত্ব তিনি দিবেন।

রামগঞ্জের ১নং কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা রাবেয়া বেগম বলেন, নারীদের নিয়ে আলাদা ভাবনাচিন্তা করার মত নেতা এই রামগঞ্জে আগে কখনো ছিল না। পারিবারিকভাবে অসচ্ছল থাকার কারণে রামগঞ্জের অনেক নারীকে তিনি সেলাই মেশিন দিয়েছেন। যার কারণে আজ আমরা স্বাবলম্বী। স্কুল পড়ুয়া অনেক দুঃস্থ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচ তিনি চালাচ্ছেন। এই অঞ্চলে আবু নাসেরের মতো যোগ্য নেতৃত্ব খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাবে।

আবু নাছের শেখ বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। প্রবাসে থেকেও দলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। ২০১০ সালে হাসিনা সরকারের নির্যাতন নিপীড়ন হামলা মামলা অত্যাচারের কারনে লন্ডন চলে যেতে বাধ্য হয়েছি। পরবর্তীতে সেখানে থেকেই হাসিনার বিরুদ্ধে লড়েছি। এবং এলাকার মানুষের সকল প্রয়োজনে পাশে দাঁড়িয়েছি।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্টমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে মাইনাস তাপমাত্রার মধ্যে আমরা আমরণ অনশন করেছিলাম। এমন হাজারো আন্দোলন সংগ্রাম আমরা করেছি যার কারণে আমার পরিবারের সদস্যরা নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

আবু নাসের বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার ডিজিএফআই, ডিবি ও অন্যান্য সংস্থাকে ব্যবহার করে আমার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা, মিথ্যা মামলা, গুম, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ নানান ধরনের নৃশংস অত্যাচার ও নিপীড়ন চালিয়েছে। দিনের পর দিন আমার এলাকার বিএনপি সমর্থিত নিরীহ মানুষের ওপর অত্যাচার নির্যাতন করেছে। এমনকি তাদের বাড়িঘর পর্যন্ত পুড়িয়ে দিয়েছে। সেসব কষ্টের স্মৃতি আমরা এখনো ভুলিনি।

তিনি আরো বলেন, আমার নিজ এলাকা রামগঞ্জে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীদের ও সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় আমি যেমন সবসময় পাশে ছিলাম, তেমনি ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থেকে আমার সর্বোচ্চটা সহযোগিতা করবো ইনশাল্লাহ।

আমি বিশ্বাস করি, দেশ নায়ক তারেক রহমানের হাত ধরে বাংলার মানুষ যেভাবে ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাশাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে তেমনি ভবিষ্যতে রামগঞ্জের মানুষ আমাকে নির্বাচিত করে তারেক রহমানের হাত শক্তিশালী করবে এবং একটি সত্যিকারের সোনার ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

Author