‘নির্বাচনী মাঠে টিকে থাকবে না এনসিপি’: সরকারি সুবিধায় গড়া নতুন দল নিয়ে ক্ষোভ ফারাবির‘নির্বাচনী মাঠে টিকে থাকবে না এনসিপি’: সরকারি সুবিধায় গড়া নতুন দল নিয়ে ক্ষোভ ফারাবির

গণঅধিকার পরিষদের নিবন্ধন ও শক্ত সাংগঠনিক কাঠামো থাকা সত্ত্বেও দলটি চরম অর্থসংকটে ভুগছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম (ফারাবি)।

ফারাবির দাবি, দেশের বর্তমান রাজনীতিতে প্রথম সারির তিনটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিএনপি এগিয়ে আছে, এরপর আছে জামায়াতে ইসলাম/হেফাজতে ইসলাম, আর তৃতীয় অবস্থানে আছে সাংগঠনিক শক্তিতে এগিয়ে থাকা গণঅধিকার পরিষদ। “আমি বিশ্বাস করি, গণঅধিকার পরিষদ যদি মহাসমাবেশের ডাক দেয়, কয়েক লক্ষ নেতাকর্মী উপস্থিত হবেন,” বলেন তিনি।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরপরই নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুসকে ক্ষমতায় বসিয়ে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় একটি নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করা হয়েছে, যার না আছে দলীয় নিবন্ধন, না আছে জেলা পর্যায়ে কাঠামো বা কার্যালয়। তবু দলটি নিয়োগ ও টেন্ডার বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করছে।

ফারাবির ভাষায়, “দলটির প্রধান ব্যক্তি নাহিদ নয়, এর প্রকৃত মাস্টারমাইন্ড আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তারা তো চাকরি বা ব্যবসা করে না, বড় কোনো শিল্পও নেই। তাহলে দেশের বিভিন্ন স্থানে এত বড় কর্মসূচির জন্য কোটি কোটি টাকার উৎস কোথায়?”

তিনি দাবি করেন, গণঅধিকার পরিষদ থেকে সুবিধা না পেয়ে যারা অসন্তুষ্ট হয়েছেন, মূলত তাদের দিয়েই নতুন এই দল ‘এনসিপি’ গড়ে তোলা হয়েছে। সরকারের কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার লোভে তারা এ দলে যোগ দিয়েছেন এবং সারা দেশে ‘হরিলুট’ চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ফারাবি আরও বলেন, “৭১’কে যেমন খেয়েছে শেখ মুজিব, তেমনি ২৪’কে ব্যবহার করে খাচ্ছে এনসিপি। যদি এমন চলতে থাকে, ক্ষমতার পালাবদলের পরে দলটির অস্তিত্ব থাকবে না।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, ভোটের রাজনীতি আর জনসভায় ভিড় দেখানো এক জিনিস নয়; জনগণের সঙ্গে মিশে থাকতে না পারলে যে কোনো সময় সমালোচনা ও রাজনৈতিক চাপে পড়তে পারে এ দল।

ফারাবি মনে করেন, গত বছর এই দিনে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ হলেও বছর না ঘুরতেই মানুষ নতুন দলটির ভিন্ন চেহারা দেখে ফেলেছে। জুলাই আন্দোলনকেও নিজেদের নামে চালিয়ে দেওয়ার প্রবণতা জনগণের আস্থা নষ্ট করছে এবং এর ফলে দেশে আবারো অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।