জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলন শুধু দেশের ভেতরেই সীমাবদ্ধ ছিল না, এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও উত্তর আমেরিকায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশে রাস্তায় নামেন, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি করেন, তহবিল সংগ্রহ করেন এবং আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রবাসীরা ভিডিও বার্তা, প্রতিবাদী পোস্ট ও সচেতনতামূলক প্রচারণার মাধ্যমে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
ইউরোপে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার নুর মোহাম্মদ মোল্লা ছিলেন অন্যতম। চেক রিপাবলিকে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে তিনি আন্দোলনের পক্ষে প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন করেন। পরে দেশে আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করলে তিনি প্রবাসের নিরাপদ জীবন ছেড়ে সরাসরি দেশে ফিরে আসেন।
বাংলাদেশে এসে নুর মোহাম্মদ বিভিন্ন মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিলে অংশ নেন। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের দাবিতে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ স্থানীয়দের নজরে আসে।
প্রবাস থেকে দেশে ফিরে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার এই উদ্যোগকে অনেকেই দায়িত্বশীল নাগরিক চেতনার উদাহরণ হিসেবে দেখছেন। নুর মোহাম্মদের এই পদক্ষেপ প্রবাসীদের ভূমিকায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা।