চলচ্চিত্র অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের কল্যাণপুরস্থ জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে। তার জমিতে তিনি ‘নাভানা সিএনজি কনভার্শন সেন্টার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দিয়েছেন।
গত ৩০ জুলাই আজিজুর রহমান টাইগার, দিলশাদ, সাইদুর রহমান এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জন ব্যক্তি নাভানা সিএনজিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে এবং নিজেদের সাইনবোর্ড স্থাপন করার চেষ্টা চালায়। ডিপজলের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ জানিয়েছেন তার ম্যানেজার মো. আব্দুল গণি।
এ ঘটনায় ওইদিনই (৩০ জুলাই) দারুস সালাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন আব্দুল গণি। জিডি নম্বর-১৭৮।
এদিকে, ডিপজল গত ৪ আগস্ট নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ঘটনার ভিডিও এবং জিডির কপি প্রকাশ করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি লেখেন, “আমরা অত্যন্ত দুঃখ ও উদ্বেগের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আজিজুর রহমান টাইগার, দিলশাদ, সাইদুর রহমান এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জন ব্যক্তি আমাদের ভাড়াকৃত প্রতিষ্ঠান নাভানা সিএনজিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে আমাদের স্থাপিত সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে এবং নিজেদের সাইনবোর্ড স্থাপন করার অপচেষ্টা চালায়।”
ডিপজল আরও লেখেন, “এ সময় তারা আমাদের কর্মচারীদের মারধর করে, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং হুমকি প্রদান করে। তাদের এই কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বেআইনি, জবরদখলমূলক এবং আমাদের শান্তিপূর্ণ ব্যবসা পরিচালনায় গুরুতর বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে এ ধরনের জোরপূর্বক অবৈধ দখল প্রচেষ্টা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। আমরা আইন ও প্রশাসনের প্রতি আস্থা রাখি এবং আশাবাদী যে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।”
এ ঘটনায় চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, গত কয়েক মাস ধরে একটি চক্র ডিপজলকে মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করছে। ডিপজল বর্তমানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চলচ্চিত্র সমিতির একজন কার্যনির্বাহী সদস্য বলেন, “ডিপজল চলচ্চিত্রের অকৃত্রিম বন্ধু। তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গণের সর্বস্তরের সদস্যদের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়ান। একটি কুচক্রী মহল তাকে নানাভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এখন তার জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের পাঁয়তারা করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির একজন প্রবীণ সদস্য বলেন, “সিনেমার উন্নয়নে এবং গতিশীল রাখতে ডিপজল সবসময়ই উদ্যোগ নিয়ে থাকেন। একের পর এক সিনেমা নির্মাণ করেন। এতে শিল্পী, কলাকুশলী ও টেকনিশিয়ানদের উপার্জনের সুযোগ তৈরি হয়। এমতাবস্থায়, তাকে হয়রানি করার জন্য একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। তার জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে জোরপূর্বক দখলের অপচেষ্টা করছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, যে চক্র তাকে হয়রানি করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”